দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে মুসলিম
সম্প্রদায়ের খুশির পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনটি। এই দিনটিকে ঘিরে সেই ছেলে
বেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত নানা অনুভূতি ও অনেক স্মৃতি জরিত।সেই ছেলে বেলায়
যখন ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম তখন দেখতাম কিছু মানুষ ঈদ গাঁয়ের
প্রবেশ দ্বারে ভিক্ষার থালা হাতে দাড়িয়ে থাকতো, আবার কিছু মানুষ ঈদের আগে
ফিতরার টাকার জন্য সচ্ছল মানুষদের দ্বারে দ্বারে হানা দিতো। তখন এ
ব্যাপারগুলো তেমন ভাবাতোনা কিন্তু যখন বড় হয়েও ঐ মানুষগুলোকই এত বছর পরেও
এই খুশির দিনে ঈদ গাঁয়ে ভিক্ষা করতে দেখেছি, ফিতরার টাকার জন্য দৌড়াতে
দেখেছি তখন সত্যি ভাবনার দোলায় দোল খেয়েছি।বাংলাদেশের কত মানুষ মাস বছরের
মধ্যেই ভাগ্য বদলে শত শত কোটি টাকার মালিক হচ্ছে কিন্তু এই জনগোষ্ঠীর ভাগ্য
যেন যুগের পর যুগ পার হলেও পরিবর্তন হয়না। এই জনগোষ্ঠীর জন্মই হয়েছে যেন
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। যখন ভাবি আমরা সবাই উলঙ্গ দেহে পৃথিবীতে আসি কিন্তু
এই সমাজ ব্যবস্থা কাউকে খুশির দিনেও ভিক্ষার থালা হাতে রাস্তার ধারে বসিয়ে
দেয় আর কাউকে ঝলমলে পোষাকের ঝলকানিতে সুন্দর করে তোলে তখন আামার ঈদ আনন্দ
ফিকে হয়ে যায়। যেদিন দেখবো বাংলাদেশের কোন মানুষ যাকাতের কাপড়ের জন্য কোন
ধনির বাড়ীর গেটের সামনে ভিড়ে পায়ে পিষ্ঠ হয়ে মারা যাবেনা,ঈদের খুশির দিনে
অনাথের মলিন মুখ দেখা যাবেনা, ফিতরার অর্থ গ্রহনের কোন মানুষ খুজে
পাওয়া যাবেনা, সেই দিন সত্যি নিজেকে একজন গর্বিত বাঙ্গালী এবং মুসলিম মনে
হবে।