অনেকেই
আমরা বলে থাকি , আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ট মুজিববাদী আদর্শের রাজনীতি করি ,আমি সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা শহিদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করি ,আমি ইসলামি আদর্শের রাজনীতি করি। একটি গনতান্ত্রীকদেশের মানুষ কোন ব্যাক্তি বা দলের বিশেষ আদর্শ বা উদ্দেশ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক।বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবি ও রাজনীতির চেলাপ্যালা আজ এই
আদর্শ
বাস্তবায়নে মহাব্যাস্ত।এতো আদর্শ ,আর এতো স্বপ্ন দেখা রাজনীতি চর্চা হয় যে দেশে সেই দেশতো আজ স্বর্গের লীলাভূমি হওয়ার কথা ছিলো। তবে এই মূহুর্তে আমি বোধগম্য নই, আসলে উল্লেখিত আদর্শগুলো মূলতো কি ?আমি বাংলাদেশে বড় মাপের রাজনীতিবিদদের মতো রাজনীতি বুঝিনা,তাই সোজা সরল মগজে এই মূহুর্তে চলমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে মুজিবাদী আদর্শের রাজনীতি মানে ক্ষমতায় একবার গেলে নির্লজ্জ বেহায়ার মত হত্যা ও খুনের মধ্যেদিয়ে ক্ষমতা চেয়ার আজীবন খামচে ধরার চেষ্টা আর জিয়াবাদী আদর্শের রাজনীতি মানে দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জীবন্ত কাবাপ বানিয়ে দগ্ধ লাশের উপর দিয়ে
ক্ষমতার
মসনদ আরোহন করা ,আর দেশের বাদবাকী আদর্শ মুজিব জিয়ারই ড্যামো ভার্সন।
যে
তন্ত্র মন্ত্রের দোহাই দিয়ে এতো হানাহানি সেই তন্ত্রমন্ত্র আসলে কাদের জন্য ……..রাজনীতির ভাষায় আপনারা বলেন, দেশের আপামর মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য।মানুষের অধিকার আদায়ের নামে এই তন্ত্রমন্ত্রের কাইজা করতে গিয়ে যদি দেশের মানুষ হত্যা করে বিনাশ করা হয় তাহলে
এমন
কচুর তন্ত্রমন্ত্র আসলেই বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন আছে কিনা সেই ভাবনায় দ্বিধাদ্বন্দে পড়েয়াই।যে দেশের অধিকাংশ মানুষ তন্ত্রমন্ত্র গনতন্ত্র
বলতে ব্যালট পেপারে নৌকা কিংবা ধানের শীষে সিল মারা,আর টেলিভিশনের
চটকদার টকশোকে বোঝে।যেদেশে বছরের পর বছর ধরে
এই তন্ত্রমন্ত্র গনতন্ত্রের সিল মেরে গনমানুষের তিনবেলা পেটপুরে খাওয়ার নিশ্চয়তা জুটেনি,শ্রমিকের
ন্যায্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ হয়নি,শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীর চাকুরির
নিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়নি,হতদরিদ্রের চিকিৎসার ভরসা নাই,দিন শেষে নির্বিগ্নে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা নিশ্চিৎ হয়নি,তাহলে কেন শুধু ব্যালটে একটা নৌকা কিংবা ধানের শীষে সিল
মারার জন্য বছরের পর বছর ধরে এই হত্যাযজ্ঞ নিরবে চেয়ে দেখা ?যে প্রতিকে সিল মারলে দূর্ণীতিবাজ পেটমোটা মন্ত্রী উপহার পেতে হয়,দেশের সোনার টুকরো যুবকরা মানুষ কোপানো কষাইয়ে রুপান্তর হয়,সাধারণ মানুষকে আগুনে
ঝলশানো অঙ্গপ্রতঙ্গ উপহার পেতে হয়,বিবেকহীন পশু উৎপাদন হয় যারা
জীবন্ত মানুষকে পুরিয়ে মেরে জয়ের উল্লাশ করে,এক অখন্ড জাতীকে
মিথ্যে ইতিহাসের বোঝা চাপিয়ে খন্ড খন্ড শত্রুগোত্রে বিভক্ত করা হয়,বাংলার দুই
মহামানব (তাদের ভাষায়) মুজিব জিয়ার ব্যাক্তিপূজা ব্যাতিত জাতিকে আর কোন মনিষী ব্যাক্তিত্বের
প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়া হয়না।তবুও কেন বার বার একই বৃত্তের মধ্যে এই ঘুরপাক খাওয়া?
আমরা অধিকাংশ মানুষই এই তন্ত্রমন্ত্র গনতন্ত্রের খেলার অভিশাপ
থেকে মুক্তী চাই কিন্তু মুক্তি কে দেবে ?মুক্তি আমার আপনার হাতেই মধ্যেই, যতদিননা
আপনার আমার ভেতরের প্রতিবাদকে প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে জানান দিতে নাপারবো,যতদিননা দলীয়
চিন্তার বাইরে ভালোকে ভালো মন্দকে মন্দ বলতে নাপারবো,যতদিননা মার্কা এবং ব্যাক্তি পূজার
রাজনীতি পরিহার করে গনমানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য শোচ্চার নাহবো,যতদিননা বাঙালী এবং
বাংলাদেশী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ নাহবো ততদিন এই দুঃভাগ্য সঙ্গী করে নিশ্চিৎ অন্ধকার গন্তব্যের
দিকেই এগিয়ে যেতে হবে ………..