শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০

গৃহবন্দী অতিষ্ঠ জীবন এবং খাঁচার পাখির কষ্ট।

আমরা কয়েক দিনের গৃহবন্দী জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।অথচ, আমরা অনেকেই বনের বিহঙ্গকে খাঁচায় বন্দী করে বাসার এককোণে ঝুলিয়ে রেখে আভিজাত্য দেখাই।যে পাখি উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পায়, সেই পাখিটিকে ছোট্ট একটি খাঁচায় বন্দী করে মাসের পর মাস ওর কষ্টের জীবন থেকে বন্য আনন্দ লাভের চেষ্টা করি।একবারও কি বোঝের চেষ্টা করি, পাখিটির অতৃপ্ত, অশান্ত মনে খাঁচার এপার ওপার ডানা ঝাপটিয়ে বেড়ানোর কষ্ট।
ছাত্রজীবনে রাজনৈতিক কারণে একবার হাজত বাসের অভিজ্ঞতা হয়েছিলো।জানতাম না এই বন্দী দশার অবসান কবে হবে।হঠাৎ করেই আইনের গ্যাঁড়াকলে পরাধীন হয়ে গেলাম।প্রতি মুহূর্তে স্বাধীনতার স্বাদটা কি?সেটা দারুণ ভাবে অনুভব করছিলাম।চব্বিশ ঘণ্টার লোহার শিকে ঘেরা বন্দী দশা থেকে মুক্ত হয়ে একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম,বনের পাখিকে কখনো খাঁচায় ঢুকিয়ে পুষবো না......।
বনের পাখিকে আদর দিলে খাঁচায় ঢুকিয়ে পোষার প্রয়োজন হয়না, এমনিতেই আপনার কাছে আসতে পারে। আমার বাসার বারান্দায় প্রতিদিন বিষ পঁচিশটি কবুতর, কাক,দোয়েল খাবার সন্ধান করে।বাসার উচ্ছিষ্ট খাবার ডাস্টবিনে না ফেলে বারান্দায় রাখা নির্দিষ্ট একটি পাত্রে রেখে দেই।ওরা মনের আনন্দে সেগুলো খেয়ে নেয়।আমি কখনো বারান্দায় বেড় হলে কবুতরগুলো দূর থেকে ছুটে আসে আমার কাছে,নির্ভয়ে ঘুরঘুর করতে থাকে পিছু পিছু।
ওরা ভাবে,আমি নই ওদের ভয়ের কোন জন,
আমি ওদের আপন
হয়তো এনেছে খাবার
হবে এবার ক্ষুধা নিবারণ .....।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন